ডলার সংকট ও চলমান কৃচ্ছ্রসাধনের পরোক্ষ প্রভাবেও থেমে নেই ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ৮ মেগা প্রকল্পের কাজ।
এটি আশাব্যঞ্জক। জানা গেছে, গত নভেম্বর পর্যন্ত এসব প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে।
প্রকল্পগুলোর গড় ভৌত অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের (আংশিক) উদ্বোধন হলেও প্রকল্প শেষ হতে এখনো বেশ কিছুটা সময় বাকি। দেশের সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
শুরু থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ৫২ দশমিক ৯০ শতাংশ। প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৫৭ হাজার ২১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের উৎপাদনে যাওয়ার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু কোভিড মহামারিতে সঞ্চালন লাইনের কাজ দেরি হওয়ায় কেন্দ্রটির উৎপাদন পিছিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ রূপপুর প্রকল্প উৎপাদনে আসতে পারে। মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর-এসব প্রকল্পের অগ্রগতিও আশাব্যঞ্জক।
মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রভাব যেন ডলারের মূল্য ও দ্রব্যমূল্যে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জনস্বার্থে। কাজেই সেগুলোর কাজ শেষ করতে দেরি হলে মানুষ এগুলোর সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। প্রকল্পের মেয়াদ বারবার বাড়ানোর কারণে খরচও বৃদ্ধি পায়। কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। বারবার মেয়াদ বাড়ানো হলে প্রকল্পের বাণিজ্যিক কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। পরিবেশের ক্ষতি করে যাতে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।