শেষ হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। টানা দশমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা। আর ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন। অনুমিতভাবেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি।
নির্বাচনের বছরে পরীক্ষিত নেতৃত্বে কোনো রাজনৈতিক দলই খু্ব বেশি পরিবর্তন আনে না। আনার কথাও নয়। আওয়ামী লীগও সেই পথে হেঁটেছে এবং সেটি খুবই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে, বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে নাড়ির সম্পর্ক আওয়ামী লীগের। পাকিস্তানি শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে মাত্র ২৪ বছরের সংগ্রামে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ে নেতৃত্ব দেওয়া রাজনৈতিক দল বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। এখানেই আওয়ামী লীগ অনন্য। এখানেই আওয়ামী লীগ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো থেকে আলাদা।
বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক মানুষের মনের ভেতর থেকে গড়ে ওঠা দল আওয়ামী লীগের কাছে প্রত্যাশাও খুব বেশি। অনেক অনেক বেশি। কিন্তু আওয়ামী লীগ কি মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে? কতটা পারছে? এই আলোচনা ঘুরে ফিরে আসছে কিছুদিন ধরে।
২০০৯ সাল থেকে দল টানা ক্ষমতায় আছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অর্ধশতকের ইতিহাসে টানা তিনবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আর কোনো রাজনৈতিক দল পায়নি। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একদিকে যেমন অর্জন, অন্যদিকে দলের প্রতি মানুষের প্রত্যাশার চাপ বাড়িয়েছে অনেক।