শীতের সময় ত্বকের পাশপাশি চুলেও শুষ্কভাব দেখা দেয়। খুশকির সমস্যাও বাড়তে থাকে। এজন্য এ সময় ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্ন নেওয়াও জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের আবহাওয়া ত্বক-চুল শুষ্ক হওয়ার অন্যতম কারণ। এ সময় খুশকির পাশাপাশি মাথার ত্বকে চুলকানির সমস্যাও দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, চুলের এই সমস্যা দূর করতে নিয়মিত তেল মাখা জরুরি। তেল চুলের গোড়া পর্যন্ত গিয়ে গোড়া মজবুত করে। এতে চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা কমে। এছাড়াও নিয়মিত তেল লাগালে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
কোন তেল চুলের জন্য বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে এমন কয়েকটি তেলের কথা বলা হয়েছে যা চুলের জন্য বেশ উপকারী। এগুলো নিয়মিত মাখলে চুলের আর কোনও সমস্যাই হবে না।
রোজমেরি তেল: রোজমেরি একটি সুগন্ধি গুল্ম জাতীয় গাছ। এর থেকে তৈরি তেল চুলের জন্য বেশ উপকারী। রোজমেরি তেলের সঙ্গে অল্প পরিমাণে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ও মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই তেল লাগালে চুলের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
নারকেল তেল: নারকেল তেলের উপকারিতার কথা সবারই জানা। তবে এর মধ্যে কর্পূর মেশালে তার গুণ আরও বেড়ে যায়। সামান্য কর্পূর মিশিয়ে তেলটি মাথায় ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে এই তেল।
পুদিনা তেল: পুদিনার তেল চুলের গোড়া শক্ত করে। পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি চুলের আর্দ্রতাও ধরে রাখে। এই তেল কিছুক্ষণ রাখার পর শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এটি মাখলে উপকার পাবেন।
তুলসি তেল: খুশকি দূর করতে তুলসি পাতার তেল অনেকটাই সাহায্য করে। মাথার তালুতে এই তেল লাগিয়ে কিছুক্ষণ মালিশ করে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করুন।
টি ট্রি অয়েল: এই তেলটি মাথার তালুতে মালিশ করলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। পাশাপাশি শীতেও কোনও সমস্যা দেখা দেয় না। মালিশ করার পর ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার তেলটি ব্যবহার করা যেতে পারে।