সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে৷ বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে ভালো মৌলভিত্তির ইসলামী ব্যাংক থেকে ভয়াবহ নভেম্বরের ঋণ কেলেঙ্কারি দেশে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ব্যাংক থেকে নাম ঠিকানাহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদানের স্বচ্ছতা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করছে।
আমরা আমদানি করি বেশি সে তুলনায় রপ্তানি করি কম। ফলে আমদানির চেয়ে রপ্তানি আয় কম হওয়ায় চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের শুরু থেকেই বড় অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গত অক্টোবর মাস নিয়ে টানা চার মাস বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়তে হয় দেশকে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার।
এসময় বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) এ তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায় যে, বর্তমান অর্থবছরের টানা তিন মাসে অর্থাৎ (জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর) বড় অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিলেও অক্টোবর মাসে ঘাটতির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এলসি খোলা নিয়ে নানা পদক্ষেপের কারণে এমন হয়েছে বলে মনে করা হয়। অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় ধীরে ধীরে আমদানি-রপ্তানির ব্যবধান আরও কমে আসতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ (জুলাই-অক্টোবর) দুই হাজার ৫৫০ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। একই সময়ে আমদানির বিপরীতে দেশ থেকে মোট এক হাজার ৫৯১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ফলে আমদানি বেশি ও রপ্তানি কম হওয়ায় মোট আমদানি ও রপ্তানির হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার।