কোনো কিছু দেখার পর আমরা সেটা বিশ্বাস করি। সাধারণভাবে এমনটিই এতদিন হয়ে আসছিল। তবে এই ভাবনায় নতুন করে সন্দেহ জাগিয়েছে ডিপফেক। মানুষ এখন সহজেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য কিন্তু বানোয়াট ভিডিও তৈরি করতে পারছে। যেগুলো পুনর্লিখন করছে ইতিহাসের। পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে প্রতারণার কাজেও।
যদিও আমরা বেশিরভাগ প্রতারণামূলক ছবির ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করতে পেরেছি যে সেগুলো ভুয়া। তবে এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তির একটি দিকের ক্রমাগত বিকাশ ঘটে চলেছে, আর মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। সেটি হলো ডিপফেক পদ্ধতি। যা কোনটি আসল এবং কোনটি নকল তা জানার উপায়কে আরও কঠিন করে তুলেছে।
বর্তমানে ডিপফেক অনলাইন ভিডিওর প্রকৃতি পরিবর্তন করে ফেলছে। ডিপফেক আসলে কী এবং সেইসঙ্গে এই প্রযুক্তিটি আমাদের জন্য কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে তা নিয়েই আজকের আলোচনা।
ডিপফেক কী?
ডিপফেক শব্দটি এসেছে 'ডিপ লার্নিং' অর্থাৎ গভীরভাবে শিক্ষা নেওয়া এবং অন্যদিকে 'ফেক' অর্থাৎ নকল বা ভুয়া এই দুই শব্দের সংমিশ্রণ থেকে। ছবি এবং ভিডিও সংশ্লেষণে প্রশিক্ষিত এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত সফটওয়্যার এই ভিডিওগুলো তৈরি করে থাকে।
সুতরাং ডিপফেকের সংজ্ঞা এভাবে দাঁড় করানো যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির নকল ভিডিও বা চিত্র তৈরি করা। যেখানে ব্যক্তিটির মুখ এবং কণ্ঠস্বর প্রতিস্থাপন বা নকল করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হয়েছে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোনো একজন ব্যক্তি বা সাবজেক্টের মুখকে অন্য একটি ভিডিওর উপরে স্থাপন করতে পারে।