পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরবে এমন আশায় খুলনার নাজমুল বিশ্বাস (২৮) গিয়েছিলেন কাতারে। একই স্বপ্নে কুমিল্লার গোলাম মোস্তফা (২৬) সৌদি আরব ও নারায়ণগঞ্জের রবিউল আওয়াল (৩১) গিয়েছিলেন দুবাই।
কিন্তু গতবছরের ডিসেম্বরে ৩ জনই দেশে ফিরেছেন লাশ হয়ে। একজনের মৃত্যু দুর্ঘটনায়, বাকি দুজনের মৃত্যু স্ট্রোক ও হৃদরোগে।
শুধু এই ৩ জনই নন, ২০০৮ থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত দেশের ৩ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৫ হাজার ৩০১ জন প্রবাসীর মরদেহ এসেছে। এর মধ্যে ২৭ হাজার ২৩১ জনের (৬৩ শতাংশ) মরদেহ এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের ৬টি দেশ থেকে। এরমধ্যে শুধু সৌদি আরব থেকেই এসেছে ১২ হাজার ৯৩০ জন প্রবাসীর মরদেহ।
এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫ হাজার ১২৩ জন, ওমান থেকে ৩ হাজার ৭৭৬ জন, কুয়েত থেকে ২ হাজার ৭২৪ জন, বাহরাইন থেকে ১ হাজার ১১ জন এবং কাতার থেকে ১ হাজার ৫৬২ জনের মরদেহ এসেছে।
বিদেশে মারা যাওয়া অনেক প্রবাসীর মরদেহ অনেক সময়ই দেশে আনা হয় না। স্থানীয়ভাবেই সেগুলো দাফন করা হয় বিশেষ করে সৌদি আরবে।