পুড়ে যাওয়া হাতে অস্ত্রোপচারের সময় মারা যাওয়া শিশু মারুফা জাহান মাইশার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সোমবার বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা এলাকায় পারিবারিক কবরস্থান থেকে ১২ দিন পর মরদেহ তোলা হয়।
গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর মাইশার (৫) মৃত্যু হয়। সেদিনই শিশুটির মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন তার বাবা-মা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, আঙ্গুলের অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে পেট কাটার ফলে মাইশার মৃত্যু হয়। তাকে হত্যার অভিযোগে পরিবারের পক্ষ থেকে রূপনগর থানায় মামলা করা হয়।
সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মাইশার মরদেহ ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। কুড়িগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকার রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন দাস ও স্থানীয় পৌর কমিশনার জমসেদ আলী টুংকুসহ মাইশার পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে আজ মরদেহ তোলা হয়।
মাইশার বাবা মোজাফফর হোসেন বলেন, 'আমার মেয়েকে ওরা হত্যা করেছে। মেয়ের লাশ গোসলের সময় দেখতে পাই পেটে ২০টি সেলাই। আমি নিশ্চিত ওরা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।'