সংকটকালেই কৃষির গুরুত্ব বেশি অনুভব করা যায়। কভিডকালে বিশ্ব যখন থমকে দাঁড়িয়েছিল, তখনও বাংলাদেশের কৃষি খাত বসে থাকেনি। কৃষকরা মোটেও ভয় পায়নি। দিনরাত তারা কৃষি উৎপাদনে ব্যস্ত ছিল। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এবং ব্যক্তি ও বেসরকারি খাতের মাঠকর্মীরা সমান তালে কৃষিচর্চায় নিবেদিত ছিল।
বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে বোরো মৌসুমে প্রশাসন, ব্যক্তি খাত, রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষের সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ দেখে মনে হয়েছে, এ দেশের মানুষ কৃষির গুরুত্ব ঠিকই বোঝে। ওই সংকটকালে যারা শহর থেকে গ্রামে চলে গেছে, তাদের জন্যও গ্রামীণ অর্থনীতির দরজা খোলা ছিল। অনেক শিক্ষিত তরুণ-তরুণী তখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নয়া কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে মেধা ও সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রেখেছে। এখনও তাদের অনেকে কৃষির আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকীকরণ ও ই-বাণিজ্য প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে।