সন্তান নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করতেই অনেক দম্পতি ভাবেন, ‘আদৌ কি এটি সঠিক সময় নাকি আরও দেরি করা উচিত?! এমন নানা ধরনের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়।
আসলে গর্ভধারণের সর্বোত্তম সময়টি বিষয়ভিত্তিক। এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। একটি শিশুকে স্বাগত জানাতে আপনি শারীরিক, মানসিক, ও আর্থিকভাবে প্রস্তুত কি না তা আগে বুঝতে হবে।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, বাবা-মা হওয়ার সঠিক বয়স কত? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, বাবা-মা হওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন-
২০ বছরের আগে
এ বয়সে একটি সন্তানকে স্বাগত না জানানোই ভালো। কমবয়সে বাবা-মা হলে সেখানে আর্থিক সমস্যা থাকতে পারে। এমনকি আপনি তখন শিশুকে বড় করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নাও হতে পারেন।
২০-২৪ বছর
২০ বছরের পর থেকে বেশিরভাগ মানুষই খুব উর্বর থাকে। তথ্য অনুসারে, এ বয়সে নারীদের প্রতি মাসে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ২৫ শতাংশ থাকে।
আপনি যদি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকেন তাহলে এ বয়সেও সন্তান নিতে পারেন, বিশেষ করে নারীরা। তবে এই বয়সে বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বুদ্ধি, ধৈর্য ও আর্থিক স্থিতিশীলতা থাকতে হবে।
৩০-৩৪ বছর
ইয়েল ইউনিভার্সিটির প্রসূতিবিদ্যা, স্ত্রীরোগবিদ্যা ও প্রজনন বিজ্ঞানের ক্লিনিকাল অধ্যাপক মেরি জেন মিনকিনের মতে, ৩০-৩৫ বছরের পর থেকে নারীর উর্বরতা কমতে শুরু করে।
অনেকে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে এ বয়সে ব্যস্ত থাকায় সন্তান নিতে পারেন না। পরবর্তী সময়ে গিয়ে তারা গর্ভধারণে ব্যর্থ হন, তাই ৩০ বছরের পর থেকে সব নারীদেরই গর্ভধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
৩৫-৩৯ বছর
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩২ বছর বয়স থেকেই উর্বরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করে। ৩৭ বছর বয়সে গিয়ে তা আরও কমতে শুরু করে।
আইভিএফ’এর মতো বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার সাফল্যের হারের সম্ভাবনার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। বেশি বয়সে গর্ভধারণের কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মতো স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে শুরু করে।