বাজারে গুঁড়া দুধের দাম আরেক দফা বাড়ল। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহে দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৬০ টাকা। নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিদেশি ব্র্যান্ডের এক কেজি গুঁড়া দুধের দাম দাঁড়িয়েছে ৮২০ থেকে ৯০০ টাকা। আর দেশি ব্র্যান্ডের গুঁড়া দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকার আশপাশে।
সব মিলিয়ে এখন বাজারে তরল ও গুঁড়া দুধের দাম চড়া। বাজারে পাস্তুরিত তরল দুধের লিটার এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, যা ছয় মাস আগেও ৭৫ টাকার আশপাশে ছিল। দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার এখন তা কিনতে পারছে না। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস এই দুধ।
বাংলাদেশের মানুষ মাথাপিছু দুধ গ্রহণে আগে থেকেই পিছিয়ে ছিল। এখন দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দুধের প্রাপ্যতা আরও কমবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। যেমন দুধ বিপণনকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএলের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় খুচরায় দাম সমন্বয় করতে হয়েছে। এতে বেচাবিক্রিও কমেছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে অনেকেই গুঁড়া দুধ কেনা কমিয়েছেন।
দেশে তরল দুধ খামারিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে পাস্তুরিত অবস্থায় বাজারে বিক্রি করা হয়। গুঁড়া দুধের চাহিদার বড় অংশ মেটানো হয় আমদানির মাধ্যমে।
বিপণনকারীরা বলছেন, দুধের মূল্যবৃদ্ধির কারণ বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধি। মূলত ২০২১ সালের শুরু থেকে গুঁড়া দুধের দাম বাড়ছে। তখন বিদেশি ব্র্যান্ডের এক কেজি দুধের দাম ৬০০ টাকার নিচে ছিল, যা এখন ৯০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।