কপ ২৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর পুরো পৃথিবী একটি প্রশ্ন অবশিষ্ট রেখেছে, আমরা কি সমষ্টিগত পদক্ষেপের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষুদ্র কিছু অর্জন করেছি নাকি অনেক দেরি করে ফেলেছি?
সম্প্রতি কিছু বিশ্লেষক এবং পরিবেশবিদ বিজ্ঞানীদের একটি দলের ‘ক্রমবিকাশের সীমা’ শিরোনামে তৈরি করা প্রতিবেদনের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন, যেটি ১৯৭২ সালে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে উত্থাপিত হয়েছিল। এ প্রতিবেদনটি কার্যত কম্পিউটার মডেলকে সমন্বিত করেছে যা ১২টি অর্থনৈতিক ক্রমবিকাশের চিত্র এবং পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্রে সেগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ফল অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হতো। অন্যদিকে ২১০০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ, খাদ্য উৎপাদন, শিল্পায়ন, দূষণ এবং প্রত্যাশিত নবায়নযোগ্য সম্পদের ওপর দৃশ্যত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ক্ষেত্রেও এ প্রতিবেদন গুরুত্ব দিয়েছে। ১৯৭২ সালের এ গবেষণাটি যদিও নব্য ম্যালথুসিয়ান ভবিতব্যের ফলে বড় সংখ্যক জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, যা প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মধ্য দিয়ে সম্ভাব্য মানব অভিযোজনকে অবমূল্যায়ন করেছে বলে তখন ধারণা করা হয়েছিল।