দেহের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টি প্রয়োজন। তবে কিছু অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টস সেই পুষ্টি শোষণকে বাধা দিতে পারে। আমাদের দৈনন্দিন প্রাণী এবং উদ্ভিজ্জ খাবারে অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টস প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়।
গ্লুকোসিনোলেটস ও গয়ট্রোজেন
গ্লুকোসিনোলেটস ও গয়ট্রোজেন ক্রুসিফেরাস সবজি; যেমন—ব্রকোলি, বাঁধাকপির গ্লুকোসিনোলেটস ও গয়ট্রোজেন আয়োডিনের শোষণ রোধ করতে পারে, যা থাইরয়েডের কার্যকারিতায় বাধা দিতে পারে এবং গলগণ্ড সৃষ্টি করতে পারে।
যাদের এরই মধ্যে আয়োডিনের ঘাটতি বা হাইপোথাইরয়েডিজম রয়েছে, তাদের এসব খাবার থেকে সাবধান থাকতে হবে।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্লুুকোসিনোলেটের অধিক গ্রহণের সঙ্গে রোগের ছোট ঝুঁকি রয়েছে, যা প্রধানত ক্রুসিফেরাস শাকসবজির মাধ্যমে পাওয়া যায়। বেশ কয়েক বছর ধরে দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, গ্লুকোসিনোলেটের অধিক গ্রহণকারী পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সামান্য বেশি ছিল। যেসব ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি গ্লুকোসিনোলেট গ্রহণ করেন, তাঁদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি গ্লুকোসিনোলেট কম খাওয়াদের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেড়ে যায়।
লেকটিন
লেকটিন মটরশুঁটি, চীনাবাদাম, সয়াবিনে লেকটিন থাকে, যা ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস ও জিংক শোষণে বাধা দিতে পারে। কিছু লেকটিন বেশি পরিমাণে খাওয়ায় অন্ত্রের প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এটি জ্বালা সৃষ্টি করে, যার ফলে ডায়রিয়া এবং বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এটি পুষ্টিকে সঠিকভাবে শোষণ করা থেকে অন্ত্রকে বাধা দিতে পারে।
অক্সালেট
সবুজ শাকসবজি, চা, মটরশুঁটি, বাদাম, বিটের অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যালসিয়াম শোষিত হতে বাধা দিতে পারে। হেলথ প্রফেশনালস ফলোআপ স্টাডি এবং নার্সেস হেলথ স্টাডি (এনএইচএস) ১ ও ২-তে দেখা যায় তিনটি বড় দল পুরুষ এবং মহিলাদের উচ্চ অক্সালেট গ্রহণের সঙ্গে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি গড়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব পুরুষ দৈনিক ৭৫৫ মিলিগ্রামের কম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করেছে এবং বেশি অক্সালেট গ্রহণ করেছে, তাদের পাথর হওয়ার ঝুঁকি ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।