হঠাৎই ব্যাংক বড় খবর হয়ে উঠেছে। মাত্র ২৫ হাজার টাকা ঋণখেলাপির দায়ে পাবনার ১২ কৃষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। পরে অবশ্য এই ১২ জনসহ মোট ৩৭ জন কৃষকের জামিন হয়েছে। বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সামান্য ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে পারেননি এই কৃষকেরা।
এমন এক খবরে মনে হতে পারে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ে খুবই সংকল্পবদ্ধ। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। বাংলাদেশের ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি এখন সবার মুখে মুখে। বুধবার এই লেখা লেখার দিনই খবর বের হলো যে, এস আলম গ্রুপ একাই ইসলামি ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। সমস্যাটি ঋণ নেয়ায় নয়, বরং কিভাবে নেয়া হচ্ছে, কারা নিচ্ছে সেটাই আলোচ্য। দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন, ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর আরও আরও পত্রিকা ও মিডিয়া এখন রিপোর্ট করছে। এই প্রতিবেন অনুযায়ী নভেম্বর মাসের মাত্র দুই সপ্তাহে তিন ইসলামি ধারার ব্যাংক থেকে বেনামে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ঋণ গেছে, যেখানে গ্রহীতাদের ঠিকানাই নেই।