হঠাৎই ধর্মীয় মৌলবাদীরা দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের তপ্ত আবহাওয়াকে আরও তপ্ত করার কাজে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে নয়, সরাসরি পুলিশের চোখের ওপর আঘাত হেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনতাই করে পালিয়েছে। এতে পুলিশের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, ওঠাটা অস্বাভাবিক নয়। এ ঘটনা জঙ্গি মৌলবাদী তৎপরতার ইঙ্গিত কি না, নিকট ভবিষ্যৎই তা বলে দেবে।
মৌলবাদীরা আগে এবং পরেও আওয়াজ তুলেছে ভাস্কর্য ভাঙতে হবে। ভাস্কর্যকে তারা মূর্তি বলে ফতোয়া জারি করেছে। বলছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন হতে দেওয়া হবে না এবং দেয়ওনি। আগামী দিনে বলবে এ দেশে কোনো ভাস্কর্যই থাকবে না। করোনার আক্রমণ বর্তমান সভ্যতার বস্তুবাদী পরিচয়টাকে সবার সামনে তুলে ধরেছে। রোগ প্রতিরোধে ধর্ম কোনো কাজে লাগেনি। রোগ ঈশ্বরের ইচ্ছা-অনিচ্ছার মোটেই তোয়াক্কা করল না। প্রার্থনায়ও কাজ হয়নি। করোনার ভয়ে উপাসনালয়ে তালা ঝোলানো হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ইউরোপের একজন ধর্মযাজক প্রাণত্যাগ করেছেন, তাঁর অন্ত্যেষ্টি অনুষ্ঠানে অপর একজন বড় মাপের ধর্মযাজক স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করে অংশ নিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার আছে ঈশ্বরের টিকা’; কিন্তু সেই টিকাতে কাজ হয়নি। তিনি মারা গেছেন। করোনাকে ঈশ্বরের অভিশাপ হিসেবে দাঁড় করানো গেলে ধর্মব্যবসায়ীরা উৎফুল্ল হতেন, কিন্তু করোনা তাঁদের সাহায্য করল না।