অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৭ সাল থেকে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৭ সাল থেকে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সিপিডিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ১৯৮৬-২০১২ মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে অধ্যাপনা করেন। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউক্রেনের খারকিভ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮১ সালে স্নাতকোত্তর এবং রাশিয়ার মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ইব্রাহিম মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক পেয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমানের জন্ম ১৯৫৫, ফেনীতে।
সমকাল: শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া একটি দেশের হঠাৎ আইএমএফের ঋণ প্রয়োজন হচ্ছে কেন?
মোস্তাফিজুর রহমান: একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ এবারই প্রথম আইএমএফ থেকে ঋণ নিচ্ছে না। এর আগেও বিভিন্ন কারণে, বিভিন্ন সময়ে ঋণ নিয়েছে। সম্ভবত এর আগে ১২ বার এ ঋণ নেওয়া হয়েছিল। আমি মনে করি, এবার ঋণ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হওয়ার দুটো দিক আছে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমরা উচ্চমূল্যের দিকে যাচ্ছি। তার চাপ এসে রিজার্ভের ওপর পড়েছে। এ জন্যই গত বছর আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি ৩০ বিলিয়ন ডলার দেখতে পেয়েছি। রেমিট্যান্স দিয়ে এসব ক্ষেত্রে আমরা চলতি বছরের ঘাটতি মেটাতে পারতাম। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেখানেও লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। রেমিট্যান্স কমে গেছে। এসবের ফলে অর্থনীতিতে সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমাদের রিজার্ভ কমে গেছে। দ্বিতীয়ত, একই সঙ্গে আর্থিক খাত বা প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু সংস্কার দরকার ছিল। এসব সময়মতো না করায় সমস্যা আরও গভীর হয়েছে।