বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিটি বিভাগীয় শহরে পর্যায়ক্রমে মহাসমাবেশ করছে। বিএনপির রাজনীতিতে যখন ভাটার টান চলছিল, কোনো দিকেই কোনো কূলকিনারা করতে পারছিল না, তখনই তারা ঢাকায় একটি সমাবেশ থেকে প্রতিটি বিভাগে মহাসমাবেশের ডাক দেয়।
গত দুই মাসে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের আগে বিএনপির তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো ছিল না। বিএনপির পক্ষ থেকে ১৪ বছর যাবৎ ধারাবাহিকভাবে বলা হচ্ছিল যে ‘আন্দোলন হবে ঈদের পরে’। রাজনৈতিক সচেতন মহল ও সাধারণ মানুষ এটাকে মজা করে বলত, বিএনপির আন্দোলন ঈদের পরে, শুধু ঊহ্য থাকত কোন ঈদের পরে, সেই তারিখটা।
২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য কিছু জ্বালাও-পোড়াও করেছে, ভোটকেন্দ্রসহ পাঁচ শতাধিক স্কুলঘর পুড়িয়েছে, বাসে আগুন দিয়েছে, পেট্রলবোমাসহ কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। এসব কর্মকাণ্ড ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে, অর্থাৎ প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিল না করে সন্ত্রাসী কায়দায় আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিল দলটি। ২০১৫ সালে ৯৩ দিন তারা অবরোধের নামে জ্বালা-পোড়াও পেট্রলবোমা মারাসহ প্রচুর যানবাহনে আগুন দিয়েছে, শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে, অগ্নিদগ্ধ হয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষ।