ইউক্রেনে পারমাণবিক হামলাই পুতিনের ‘মুখরক্ষার’ পথ?—শিরোনামে একটি কলাম লিখেছিলাম প্রথম আলো অনলাইনে ইউক্রেন আগ্রাসনের দুই মাসের মাথায় (২০ এপ্রিল ২০২২)। তখন ইউক্রেনে পুতিনের পারমাণবিক বোমা হামলা নিয়ে খুব জোরেশোরে আলাপ-আলোচনা হচ্ছিল না।
পুতিনের পারমাণবিক বোমা হামলা নিয়ে আলাপ বরং অনেক বেশি হচ্ছে ইউক্রেন আগ্রাসনের ছয় মাস পেরোনোর পর থেকে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে রাশিয়ার অংশ হতে চাওয়ার প্রশ্নে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ায় আয়োজন এবং আংশিক সেনা সমাবেশ (পারশিয়াল মোবিলাইজেশন) করা প্রসঙ্গে পুতিনের ভাষণের পর থেকেই পারমাণবিক হামলা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা ডালপালা মেলে।
তখন এক বক্তৃতায় পশ্চিমাদের বিষোদ্গারের পাশাপাশি তিনি তখন বলেছিলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকাগুলো রক্ষায় সবকিছু ব্যবহার করা হবে। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেলের’ অভিযোগ তুলে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তিনি সম্ভাব্য সব শক্তি প্রয়োগের যে কথা বলেছেন, তা মোটেও ফাঁকা আওয়াজ নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন খেরসন অঞ্চলের ওপরে আক্রমণ বাড়িয়েছে। সেই আক্রমণের মুখে খেরসনের বেসামরিক মানুষদের ‘বলপূর্বক’ খেরসন থেকে সরানো হচ্ছে। এর পেছনে রাশিয়া সরকারের যুদ্ধ-কৌশল আছে, এমন আলোচনা থাকলেও এটিকে আপাতদৃষ্টিতে রাশিয়ার দুর্বলতা বলে দেখা যেতেই পারে।