ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু জুনায়েদ আহমেদের বাড়ি রাজশাহী। নিরাপদ ও ভাড়া কম হওয়ায় বাড়ি যেতে ট্রেনই তাঁর প্রথম পছন্দ। ২ নভেম্বর বুধবার সারা দিন অনলাইনে চেষ্টা করেও টিকিট পাননি। বাধ্য হয়ে পরদিন সকাল সাড়ে সাতটায় কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে পেয়ে যান ৫ নভেম্বরের টিকিট। তিনি বলেন, ‘টিকিট পেয়ে ভালো লাগছে। তবে অনলাইনে পেলে আরও ভালো লাগত। কষ্ট করে স্টেশনে আসতে হতো না।’
রংপুরের অগ্রিম টিকিটের জন্য কমলাপুর স্টেশনে আসা বেসরকারি চাকুরে তাপস রায় বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট কাটতে ঝামেলা মনে হয়, তাই দুদিন আগেই এসে স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকিট কেটে নিয়েছি।’
লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ হায়দারের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় কমলাপুর রেলস্টেশনে। তার ভাষ্য, ‘শান্তিনগরে ফুফুর বাসায় থাকি। রাজশাহীর টিকিটের জন্য দুদিন অনলাইনে চেষ্টা করেছি। আজ সকালে ৩০টি সিট খালি দেখালেও কাটতে গিয়ে এরর দেখায়। তাই এখানে এসেছি।’
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থী হাসান অবশ্য অনেক চেষ্টার পর তিন দিন আগে অনলাইনে কুড়িগ্রামের টিকিট কিনতে পারেন। ২ নভেম্বর সকালে এসে তিনি টিকিট বুঝে নেন। তবে বেশ কয়েকজন যাত্রীর অভিযোগ, তাঁরা অনলাইনে টিকিট কিনতে গিয়েও পাননি।
২ নভেম্বর সকালেই একজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় কাউন্টারের সামনে বিভিন্ন লাইনের পাশে। যাত্রীবেশে তাঁর কাছে টিকিট পাওয়া যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোথাকার টিকিট, কয়টা লাগবে, কবে যাবেন?’ চট্টগ্রামের ৮-১০টি টিকিট চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতি টিকিট ৫০০ টাকা পড়বে।’ শোভন চেয়ারের ওই টিকিটের নির্ধারিত মূল্য ৩৬৫ টাকা। পরে টিকিট নেওয়ার কথা বলে যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর চাইলে তা-ও দেন। বলেন, ‘সুজন নামে সেইভ করেন।’ পরে সন্দেহ হলে দ্রুত সরে পড়েন।