দেশের ভবিষ্যৎ তরুণদের হাতে। তরুণ প্রজন্মই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্বে দেবে। কর দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই তরুণেরাই এগিয়ে। বর্তমানে প্রতিবছর গড়ে সাড়ে আট লাখ নতুন তরুণ করদাতা করের আওতায় আসছেন। যাঁদের বেশির ভাগই হয় বেসরকারি চাকরিজীবী, নয়তো উদ্যোক্তা। কেউ কেউ আছেন তরুণ পেশাজীবী। ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের নতুন করদাতার হিসাব পর্যালোচনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০১৮, এ চার বছরে প্রতিবছর দেড় থেকে দুই লাখ নতুন তরুণ করদাতা করজালে যুক্ত হয়েছিলেন। ধীরে ধীরে এ আগ্রহ বেড়েছে। তাই গত চার বছরের মধ্যে গড়ে আট লাখ তরুণ করদাতারা যুক্ত হচ্ছেন করজালে। তাঁরাই এখন কর আহরণের ক্ষেত্রে আশা জাগাচ্ছেন। কর দেওয়ার আগ্রহ বাড়ছে তরুণদের মধ্যে।
এনবিআরের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রতিবছর যত লোক কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেন, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই তরুণ। তাঁরা কর দিতে ইচ্ছুক কিংবা তাঁদের করযোগ্য আয় আছে। এনবিআরের হিসাবে, তরুণ করদাতা চিহ্নিত করার মানদণ্ড ভিন্ন। যাঁদের বয়স ৪০ বছরের কম, তাঁদেরই তরুণ করদাতা মনে করেন এনবিআর কর্মকর্তারা। প্রতিবছর অন্যান্য শ্রেণির পাশাপাশি তরুণ করদাতা শ্রেণিতে সেরা পাঁচজন করদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।