গত কয়েক বছর ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছে, বিশ্ব এক সংকট ও অনিশ্চয়তার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এ সংকট আমরা সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারি ২০১৯ সালের শেষের দিকে করোনা মহামারির (পরবর্তী সময়ে অতিমারিতে পরিণত হয়) মধ্য দিয়ে।
আমরা জানি, স্প্যানিশ ফ্লু ১৯১৯ সালে বিশ্বে প্রায় ৫ কোটি প্রাণনাশের জন্য দায়ী ছিল। তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশও বাদ যায়নি এর করাল গ্রাস থেকে। প্রায় একশ বছর পর বিশ্ব যখন আবারও দাঁড়িয়ে এক মহামারি বা অতিমারির সামনে, তখন দেখা যাচ্ছে এ উন্নত আধুনিক বিশ্ব প্রচণ্ড অসহায়। এ অসহায়ত্ব ছিল সর্বজনীন।
বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত বা ধনী রাষ্ট্র থেকে দরিদ্রতম রাষ্ট্রটি পর্যন্ত বাদ যায়নি এ করোনাভাইরাসের ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ থেকে। আমরা জানি, বিশ্ব এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ লাখ ৯৬ হাজার মানুষের মৃত্যুর সাক্ষী হয়েছে এ অতিমারির কারণে। সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১ লাখ মানুষের। বস্তুত এটি শুধু এক মানবিক বিপর্যয়ের সাক্ষ্যই বহন করছে না, বরং এক কঠিন বাস্তবতা, যা বর্তমান বিশ্বসভ্যতার নাজুক অবস্থার প্রমাণ দেয়। দুর্বলতাগুলো একেবারে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এ অতিমারি।