তাকসিমের ওয়াসায় ঘুষ ছাড়া নিয়োগ হয় না

সমকাল প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৩৫

দরকার ছিল পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশনের ক্ষেত্রে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা; সিনিয়র পর্যায়ে অন্তত ২০ বছর প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দায়িত্ব পালনের আবশ্যকতা। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী তাঁর এসবের কিছুই ছিল না। তবু বিজ্ঞপ্তির শর্ত কেটে-ছিঁড়ে তাঁর জন্য তৈরি করা হয় নিয়োগের মসৃণ মঞ্চ। তাঁর মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বাড়াতে করা হয় টেম্পারিং (ঘষামাজা)। শেষমেশ ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) 'জাদুকরী' চেয়ারে বসেন প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এর পর থেকেই ধরাকে সরা জ্ঞান করে হাঁটছেন নানা অনিয়মের পথে। যেন তাঁর অনিয়মের শুরু আছে, শেষ নেই। গত ১৩ বছর 'একনায়কতন্ত্র' জারি করে সরকারের সেবা খাতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা ওয়াসাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ছেড়েছেন তিনি।


কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আর স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসায় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ- এমডি তাকসিমের অনিয়ম-দুর্নীতি অভিধানের অন্যতম অধ্যায়। তিনি নিজেই অনিয়ম করে বড় পদ বাগিয়ে নিয়ে মেতে আছেন নিয়োগ বাণিজ্যে। তাঁর নেতৃত্বে পদভেদে সর্বনিম্ন ২ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। গভীর অনুসন্ধানে নিয়োগ বাণিজ্যের নানা তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে সমকাল।


ওয়াসার একাধিক সূত্র জানায়, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে মানা হয়নি ওয়াসার সাংগঠনিক কাঠামো। ভেঙে ছারখার করা হয়েছে বিধিবিধান। লক্ষ্য ছিল একটাই- নিয়োগ বাণিজ্য। আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিম্ন পর্যায়ের বিলিং সহকারী ও মেশিন অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয় ২ থেকে ৯ লাখ টাকায়। সিস্টেম অ্যানালিস্ট, সচিব, সহকারী সচিব, উপসহকারী প্রকৌশলীসহ উচ্চ পদের কর্মকর্তা নিয়োগে নেওয়া হয় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা। আর পরিচালক পদ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us