জোড়া কলা খেলে কী হয়? -এ নিয়ে আমাদের চারপাশে বেশ কিছু কথা বা কুসংস্কার চালু আছে। এই জোড়া কলা নিয়ে মানুষের মনে এক ধরনের বিশ্বাস রয়েছে, যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেও বছরের পর বছর তা মেনে আসছেন অনেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসটা হলো, কোনো নারী বা পুরুষ জোড়া কলা খেলে তাদের যমজ সন্তান হবে! বিশেষ করে মেয়েদের জোড়া কলা খেতেই দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলছে, বিষয়টা কী আসলেই সত্যি না কুসংস্কার?
বিজ্ঞান কী বলছে? বিজ্ঞান কিন্তু সাফ বলছে, কলা খাওয়ার সঙ্গে আদৌ যমজ সন্তান হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি একেবারেই নিপাট কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়।
বিজ্ঞান কী বলছে? বিজ্ঞান কিন্তু সাফ বলছে, কলা খাওয়ার সঙ্গে আদৌ যমজ সন্তান হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টি একেবারেই নিপাট কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়।
যমজ সন্তান কী ভাবে হয়
যমজ সাধারণত দুই প্রকার। বিজ্ঞানের ভাষায়, ‘আইডেন্টিকাল’ ও ‘নন-আইডেন্টিকাল’। সাধারণত আইডেন্টিকাল যমজ সন্তান একই ‘জাইগোট’ থেকে জন্ম নেয়। আর নন-আইডেন্টিকাল যমজের জন্ম হয় আলাদা ‘জাইগোট’ থেকে।
জাইগোট কী
প্রাণের সূচনা যে কোষ থেকে হয়, তাকেই জাইগোট বলে। সহজ করে বললে, পুরুষের শুক্রাণু যখন স্ত্রীর ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, তখন দু’টি কোষ এক হয়ে তৈরি করে একটি একক কোষ। একেই জাইগোট বলা হয়। এই জাইগোটটি এর পর বার বার বিভাজিত হয়ে এক ধরনের কোষগুচ্ছ তৈরি করে। যা ক্রমশ আরও বিভাজিত হয়ে তৈরি করে ভ্রূণ। এই ভ্রূণ থেকেই জন্ম হয় শিশুর।