প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে প্রশাসনের বড় কর্তাব্যক্তিদের রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রাখতে হয়। এটি তাঁদের রুটিনমাফিক দায়িত্ব। বিসিএস পাস করে নানা রকম পদ-পদবি পেরিয়ে প্রশাসনের উচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিরা চাকরি-পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে নেমে পড়েন। চাকরিজনিত কারণে রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন কূটকৌশল তাঁদের নখদর্পণে থাকে। সুতরাং রাজনীতির মোহ তাঁদের মধ্যে জাগতে পারে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
দেশ পরিচালনায় আমলাদের ভূমিকা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। সব সরকারের আমলেই আমলারা বড় বড় রাজনৈতিক পদ-পদবি কুক্ষিগত করে ফেলেন স্বীয় যোগ্যতায় এবং রাষ্ট্রীয় কাজে দক্ষতার পরিচয় দেন, এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। সরকার পরিচালনায় এবং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমলারা সরকারকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দলবদ্ধ আমলারা ইচ্ছেমতো সরকার পরিচালনায় ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হন। ফলে কখনো কখনো রাষ্ট্র এবং সরকার বিতর্কের মধ্যে পড়ে যায়। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন আমলারা জনস্বার্থে খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন না। কিন্তু তাঁরা রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নিয়ে রাজনৈতিক দলের হয়ে পার্লামেন্ট সদস্য থেকে মন্ত্রিত্ব পর্যন্ত বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন।