চলমান ভয়াবহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট জনজীবন, কর্মসংস্থান ও সার্বিক অর্থনীতিতে বিপর্যয় তৈরি করেছে। সরকার বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাতে খরুচে প্রাথমিক জ্বালানি আমদানি কমিয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর ৩৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ ছিল, ৩৬টি কেন্দ্র সক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করা হয় এবং ৬২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র আংশিক উৎপাদনে ছিল। রাতের পিক-আওয়ারে লোডশেডিং থাকছে প্রায় পৌনে ২ হাজার মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে সরকারের উদ্যোগ হচ্ছে, রিজার্ভ বাঁচাতে আমদানি নির্ভর প্রাথমিক জ্বালানি কম কিনে, বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে পরিকল্পিত লোডশেডিং করা এবং নাগরিকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো। কিন্তু 'ডলার ড্রেইনের' প্রধানতম খাতগুলো খোলা রেখে এমন চেষ্টা কি আদৌ টেকসই?
২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৫১২ কিলোওয়াট। ভারত মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের এই ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করেছে ২০ বছর আগে। ভারতের বর্তমান মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১ হাজার ২৫০ কিলোওয়াট। বাংলাদেশের মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার ভারতের গড় ব্যবহারের ৪০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক গড়ের মাত্র ১৭ শতাংশ। নিম্ন মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের দেশে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিপর্যায়ের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সুযোগটা একবারেই সীমিত।