চাহিদা পূরণে চলতি অর্থবছরে অন্তত এক কোটি টন গম ও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অথচ খাদ্যশস্য আমদানি কমছে। কেবল চাল ও গমই নয়, কমেছে ডাল আমদানিও। এই তিন পণ্যই হচ্ছে দেশের প্রধান তিন খাদ্যশস্য। এমন সময়ে এসব পণ্যের আমদানি কমছে, যখন আগামী বছরে বৈশ্বিক খাদ্যসংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ১০ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছিল। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আমদানি বরং আগের তুলনায় কমেছে। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা ডলার–সংকটে ব্যাংকে চাহিদানুযায়ী ঋণপত্র খুলতে না পারার কথা জানিয়েছেন।
ডলারের দর নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় অনেকেই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। পাশাপাশি উৎস দেশ সীমিত হয়ে যাওয়ার প্রভাব আমদানিতে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রায় চার মাসে (১ জুলাই থেকে ২১ অক্টোবর) চাল, ডাল ও গম আমদানি হয়েছে ১৫ লাখ ৩৪ হাজার টন। গত অর্থবছরে একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ২৪ লাখ ৪৬ হাজার টন। এক বছরের ব্যবধানে আমদানি ৯ লাখ ১২ হাজার টন বা ৩৭ শতাংশ কমেছে। শুধু গত অর্থবছরই নয়, গত সাত অর্থবছরে একই সময়ে এবারের আমদানি হয়েছে সবচেয়ে কম।