'খরচ কমাও, খরচ কমাই' আস্ফালনের পর সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির আওতায় যে প্রকল্পগুলোর ব্যয় কমানো হয়েছে, সেগুলো খুবই নগণ্য ব্যয়ের সব প্রকল্প। এর প্রথম উদ্যোগ হিসেবে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের নাস্তাকে 'আপ্যায়ন ভাতা'র অংশ ভেবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ মন্ত্রী, সামরিক ও বেসামরিক আমলা, সাংসদ, রাজনৈতিক নেতা-হাতাদের জন্য নির্ধারিত আপ্যায়ন ভাতার একটি টাকাও কমানো হয়েছে কি? কমানো হবেও না; কারণ সবাই শক্তের ভক্ত, নরমের যম।
সরকারের কোন খরচই আদতে থেমে নেই। এমনকি সরকারের উচ্চপর্যায়ের দুই কর্মকর্তার জন্য প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সুইমিংপুলসহ দুটি ভবন নির্মাণের কাজের সিদ্ধান্তও থেমে নেই। '৪৩ কোটি টাকা ব্যয়' হয়তো তেমন বড় কোন টাকা নয়, কিন্তু রাজকীয় ভবন নির্মাণের এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে নেওয়া হলো, যখন সরকারের উচ্চ মহল থেকে দেশের মানুষকে কৃচ্ছ্রতাসাধনের অনুরোধ করা হচ্ছে।
খবরটি শুনে মানুষের গায়ে যেন ফোস্কা পড়ার অবস্থা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হচ্ছে। সরকার চাইলে তার পদলেহীদের আরো অনেক সুবিধা দিতে পারে, কিন্তু জনগণের গায়ে ফোস্কা পড়ছে কেন? ফোস্কা পড়বে এইজন্য যে, ঐ টাকাটা জনগণের করের টাকা।