বিএনপিকে ঠেকাতে জনগণকে কষ্ট দেওয়া কেন

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৪:৪১

পাকিস্তান আমল থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। যাহা বাহান্ন তাহা তিপ্পান্ন।


পাকিস্তান আমলে রাজনৈতিক আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার। আইয়ুব খান প্রথমে সেনাশাসন জারি করে জনগণের সব অধিকার কেড়ে নেন। এরপর তিনি মৌলিক গণতন্ত্রের নামে দেশে এক আজব গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে জনগণের ভোটাধিকার ছিল না। বিডি মেম্বাররা প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নির্বাচিত করতেন। এরপর মানুষ আন্দোলন করে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। পাকিস্তানি শাসকচক্র সেই ভোটের রায় বানচাল করায় পাকিস্তান রাষ্ট্রটাই ভেঙে যায়। বহু ত্যাগ ও প্রাণের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি।

কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে। খুলনায় বিএনপি আজ (২২ অক্টোবর) যে গণসমাবেশ ডেকেছে, তারও লক্ষ্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা। এর আগে বিএনপির আমলে, এরশাদের আমলে যে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে, তারও উদ্দেশ্য ছিল ভোটাধিকার। এরশাদের আমলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মিলে ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ এরশাদের জাতীয় পার্টিসহ অন্যদের নিয়ে আন্দোলন করেছে। এখন বিএনপি ও অন্যান্য দল একই দাবিতে আন্দোলন করছে। এর শেষ কোথায়?


আজ খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। সরকার অনুমতিও দেয়। স্বাভাবিকভাবে মানুষ আশা করেছিল, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশটি হয়ে যাবে। সমাবেশের আগে ও পরে সেখানকার জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু বিএনপি খুলনায় সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে খুলনার পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা দুই দিনের ধর্মঘট ডেকে বসলেন। খুলনা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস মালিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও মহাসড়কে নছিমন, করিমন, মাহিন্দ্রা, অতুল, ইজিবাইকসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচলের প্রতিবাদে মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দুদিন পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে প্রয়োজনে সময় আরও বাড়তে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us