কতটুকু সুরক্ষিত চট্টগ্রাম বন্দর

সমকাল প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২, ১০:৫২

চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর। এটিকে বলা হয় দেশের লাইফলাইন। বন্দর সচল থাকলে ঘোরে অর্থনীতির চাকা। অচল হলে নেমে আসবে ঘোর অমানিশা। গুরুত্বপূর্ণ এমন স্থাপনার নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত আছে- তা নিয়ে লিখেছেন সমকাল চট্টগ্রাম বিভাগের রিজিওনাল এডিটর সারোয়ার সুমন


দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চলছে পাঁচ ত্রুটি নিয়ে। বছরে সাড়ে ৩২ লাখ কনটেইনার ওঠানামা করা চট্টগ্রাম বন্দরে নেই পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী। বাইরে থেকে ধার করে আনা আনসার সদস্য পালন করছেন নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব। বন্দরের ১২টি গেটসহ গুরুত্বপূর্ণ ২০টি স্থানে স্ক্যানার দরকার হলেও আছে মাত্র সাতটি। রেডিওঅ্যাক্টিভ পোর্টাল মনিটরও (আরপিএম) আছে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ। সংকট আছে দক্ষ জনবলেরও। চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পণ্য শুল্ক্কায়নের দায়িত্বে থাকে কাস্টমস। অথচ সেই কাস্টমসের সঙ্গেও বন্দরের আছে সমন্বয়হীনতা। এসব কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট আমদানি করা পণ্যের মাত্র ১৪ শতাংশ এখন শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করতে পারছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০২১ সালেও ১৫ লাখ একক রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার বিদেশে গেছে স্ক্যানিং ছাড়াই। এর ফলে বিপজ্জনক, নিষিদ্ধ ও অবৈধ পণ্য রপ্তানির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। থেকে যাচ্ছে খালি কনটেইনারে ফের মানুষ চলে যাওয়ার ঝুঁকিও।


এদিকে সংকটের সুযোগ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসছে অস্ত্র ও মাদকের চালান। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বন্দরের একটি খালি কনটেইনারে করে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মালয়েশিয়ায় চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এর আগেও একাধিকবার চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা কনটেইনার যথাযথভাবে পরীক্ষা না করায় সিঙ্গাপুর ও ভারতে চলে গেছেন একাধিক ব্যক্তি। অথচ বন্দরের নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের আওতায় ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পণ্য স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক করা হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। উদ্যোগ নেওয়ার এক যুগ পরও আমদানি ও রপ্তানি পণ্য শতভাগ স্ক্যান করা যাচ্ছে না। নিরাপত্তা ঝুঁকিও কমছে না দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us