বিশ্ব এখন এক মহামন্দার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কোভিডের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি প্রবল চাপের মুখে পড়েছিল। দিনের পর দিন লকডাউনে বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে গিয়েছিল। কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করছিল, তখনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন এবং আরও শঙ্কা নিয়ে আসে। যুদ্ধ এখন আট মাসে পড়েছে এবং শিগগিরই থেমে যাবে তেমন লক্ষণও নেই। আট মাসের ধকল সামাল দিতেই বিশ্বের কয়েক বছর লেগে যাবে। যুদ্ধ যত প্রলম্বিত হবে, মন্দা তত ভয়ঙ্কর হবে।
বাংলাদেশও বিশ্বের বাইরে নয়। তাই মহামন্দার ঢেউ ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকেও। গত এক যুগে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দেশেও দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন ছিল অভাবনীয়। প্রায় অন্ধকার একটি দেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল বিদ্যুতের আলো। গোটা বাংলাদেশ এখন দারুণভাবে সংযুক্ত। পদ্মা সেতু তো আমাদের সক্ষমতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্নফুলী নদীর নিচে টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বড় বড় প্রকল্প শেষ প্রান্তে। এমন অবস্থায় কোভিড এসে আমাদের উন্নয়নের গতি শ্লথ করে দেয়। আর যুদ্ধ এসে গতি থামিয়ে দিয়েছে প্রায়। হঠাৎ করেই উন্নয়নের হাওয়ায় ভাসতে বাংলাদেশ এক শঙ্কার সামনে দাঁড়িয়ে।