উচ্চপ্রবৃদ্ধির দরিদ্র সরকার

বণিক বার্তা ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০২:১২

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো। এছাড়া তিনি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) সদস্য। কাজ করছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক হিসেবে। সম্প্রতি বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, উন্নয়ন দর্শন, রাজনৈতিক সংকট ও আর্থিক ঘাটতি নিয়ে।


ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য : গত দশক ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কম-বেশি প্রবৃদ্ধির মধ্যে ছিল। এ সময়ে একটা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ঘটেছে। যদিও তা মূলত হয়েছে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ও উদ্যোগের ফলে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ, দেশীয় ও বিদেশী অর্থনীতির আয়তনের তুলনায় বাড়েনি। কর আহরণ উদ্বেগজনক কম হয়েছে এবং ভৌত অবকাঠামোয়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের বিপরীতে বরাদ্দ বেশি দেয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে।


বর্তমানে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি, একই সঙ্গে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। দু-একটি সূচক বাদ দিলে এমডিজি অর্জিত হয়েছে, অতিমারীর আগ পর্যন্ত এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকেও এগিয়েছি। তবে বর্তমান সময়কালে উন্নয়নের যে চরিত্র তার কিছু দ্বন্দ্ব, বিশেষ করে অন্তর্নিহিত ও আর্থ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এ অর্জনগুলোকে কিছুটা হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।


দেখুন, আমরা যখন বাংলাদেশের ৫০ বছর উদযাপন করি তখন বিভিন্ন অর্জনগুলোর সঙ্গে সঙ্গে দু-তিনটি বিষয়ে অনেকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আমি সেগুলো স্মরণ করতে চাই, যেহেতু বর্তমান আলোচনার ক্ষেত্রে এগুলো প্রাসঙ্গিক হবে। প্রথমত, বাংলাদেশ বিগত ৫০ বছরে আরো বেশি বৈষম্যমূলক সমাজে পরিণত হয়েছে। শুধু আয় কিংবা সম্পদ নয়, ভোগ ও সামাজিক সুযোগের ক্ষেত্রেও বৈষম্য প্রতিফলিত হচ্ছে, যা আমাদের যুবসমাজকে মূলধারা থেকে অনেক বেশি বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে ধরনের বিনিয়োগ, সেবা ও সুবিধা বণ্টন করা হয়েছে, তা সবার কাছে পৌঁছেনি। লক্ষ্যনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য শুধু বরাদ্দ কম ছিল তা-ই নয়, ভাতা বিতরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দেখা দিয়েছে। তাই জাতীয় উন্নয়নের সুবিধা গরিব মানুষ বা অসুবিধাগ্রস্ত সম্প্রদায় কম পেয়েছে। তাদের মধ্যে আবার রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে যোগাযোগবিহীন দরিদ্ররা পেয়েছে আরো কম। তৃতীয়ত, উল্লেখিত দুটি ঘটনা ঘটার একটা বড় কারণ হলো, আর্থসামাজিক উন্নতির ধারাবাহিকতাকে সচল রাখতে হলে যে ধরনের রাজনৈতিক-প্রশাসনিক জবাবদিহির প্রয়োজন, সেটার ক্ষেত্রে এ সময়কালে বাংলাদেশে বড় ধরনের ঘাটতি ছিল। আমাদের অর্থনীতি বিকাশমান ও সম্প্রসারণশীল; কিন্তু একই সঙ্গে তা ক্রমবর্ধমানভাবে অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us