গোলাপফুলের পাপড়ি পানিতে ফুটিয়ে বা ডিস্টিল করে যে তরল পাওয়া যায়, সেটাই গোলাপজল। হালকা সুবাসিত এই তরলটি প্রাকৃতিক সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিকে ভরা পারফিউমের প্রাকৃতিক বিকল্প এটি। জেনে নিন কেন এবং কীভাবে চুলের যত্নে ব্যবহার করবেন গোলাপজল।
১। মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে গোলাপজল। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মাথার চুলকানি আর প্রদাহ কমাতে পারে।
২। খুশকি দূর করতে কার্যকারিতা রয়েছে গোলাপজলের। গোলাপের নিজস্ব প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ খুশকি ও মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করে।
৩। গোলাপজলে ভিটামিন এ, সি, ডি, ই এবং বি ৩ রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো চুল ভালো রাখার জন্য জরুরি। গোলাপজল চুলের গোড়ায় সরাসরি স্প্রে করলে চুলের ফলিকলগুলোর গভীরে ঢুকে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ে।
৪। প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে গোলাপজলের জুড়ি নেই। রুক্ষ চুলে প্রাণ ফেরায় উপাদানটি। চুলের শেষভাগ শুষ্ক আর ফাটা হলেও গোলাপজল স্প্রে করুন, চুল নিমেষে আর্দ্র আর নরম হয়ে যাবে।
৫। মজবুত চুলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন গোলাপজল। ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণের রয়েছে এতে। এসব উপাদান চুল মজবুত করতে সাহায্য করে।