মহামারী-পরবর্তী অর্থনীতির উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ বৈষয়িক প্রথা এবং চাপের মাধ্যমে ক্ষমতায়িত হয়। যার বেশির ভাগই মূলত সরবরাহের ক্ষেত্রে পরিচালিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্ষণস্থায়ী বিষয়গুলোও রয়েছে যেমন সরবরাহ খাতের বাধা ও প্রতিবন্ধকতাগুলো এবং চীনের শূন্য কভিড নীতি এসব সম্ভাব্য কিছু ক্ষেত্রে হ্রাস করতে পারে। কিন্তু বৈষয়িক প্রথাগুলো অনেক অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বাজারে নতুন ভারসাম্য আনায় নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক।
আমরা তৈরি পণ্য এবং মধ্যবর্তী পণ্যগুলোর (বিশ্ব অর্থনীতির ব্যবসাযোগ্য অংশের যথেষ্ট ভাগ) ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংকুচিত শর্তগুলো থেকে উঠে আসতে পারছি, যা আগে অব্যবহূত, স্বল্পমূল্যের এবং উৎপাদনশীল সক্ষমতায় উদীয়মান অর্থনীতির ব্যাপক অংশগ্রহণে পরিচালিত হয়েছে। এক্ষেত্রে চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে সরবরাহ এবং মূল্যবৃদ্ধির সমন্বয়ে ভারসাম্যপূর্ণ সাড়া পাওয়া যেতে পারে। কেননা গত কয়েক দশকে সরবরাহ বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্টভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে এবং মূল্যস্ফীতির জন্য এমনভাবে চাপ প্রয়োগ করেছে যেন তা অনুমোদন পায়।
কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতিতে চলমান অব্যবহূত উৎপাদনশীল সক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং লক্ষাধিক ভোক্তা মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ায় বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উন্নত অর্থনীতিতে শ্রমিকদের দরকষাকষির ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা হ্রাস পাচ্ছে। এটির প্রমাণ পাওয়া খুব বেশি কঠিন নয়। দেখা যাচ্ছে, শ্রমিক ইউনিয়নকে সংঘবদ্ধ করা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অধিক মাত্রায় তারা সফল হচ্ছে। মালিক পক্ষ এটিকে একপাশে রেখে বর্তমান ও আগামী দিনের শ্রমিকদের হাইব্রিড কাজকে পছন্দ করাকে কঠিন হিসেবেই দেখছে।