ঢাকার নকল প্রসাধনী তৈরির চারটি কারখানায় গত ছয় মাসে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ বিপুল পণ্য উদ্ধারের পর দেখতে পায় সবগুলো কারখানারই মালিক একই ব্যক্তি।
প্রথম তিনটি অভিযানে গ্রেপ্তার এড়িয়ে আবারও অন্য জায়গায় নকল প্রসাধনী তৈরি শুরু করেন; এমনকি উচ্চ আদালত থেকে জামিনও নেন। তবে তার শেষ রক্ষা হয়নি, ছয় মাসের মধ্যে চতুর্থ অভিযানে ধরা পড়েন গত ৮ অক্টোবর।
ওই কারখানা মালিকের নাম নবী উল্লাহ (৫০), যিনি এখন পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ কমিশনার মো. মশিউর রহমান।
তার ভাষ্য, গত ছয় মাসে নবীউল্লাহ এবং তার সহযোগীরা ভেজাল কসমেটিকস ও প্রসাধনী উৎপাদন, মোড়কজাত, মজুদদারি ও বাজারজাত করার অভিযোগে তিনবার বিশেষ ক্ষমতা আইনের আসামি হওয়ার পরও জামিন নিয়ে পরে একই অপরাধে লিপ্ত থেকেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ ৮ অক্টোবর চকবাজারের বড় কাটারার একটি বাসায় ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে স্থাপিত একটি কারখানায় বিভিন্ন দেশের ও ব্র্যান্ডের কসমেটিক্স, হেয়ার টনিক, পেইন রিমুভার, ক্রিম তৈরির সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে নবী উল্লাহকে। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিনজনকে।