নিয়মরক্ষার ম্যাচ বলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই। পুরো সিরিজটিই ছিল বাংলাদেশের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার। এমন ম্যাচে সাকিব-লিটনের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭৩ রান। ফলে জিততে হলে পাকিস্তানকে তুলতে হবে ১৭৪ রান। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম জয় পেতে এই রানেই পাকিস্তানকে আটকাতে হবে বাংলাদেশের।
টস জিতে ব্যাট করতে এসে ইনিংসের শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন শান্ত। প্রথম রানের জন্য খেলেছেন ৯ বল। বেশিক্ষণ টিকতেও পারেননি তিনি। ষষ্ঠ ওভারে ওয়াসিমের বলে উইকেটকিপার রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন নাজমুল। ১৫ বলে ১২ রানে ফিরলেন এই ওপেনার। এর আগে দলকে হতাশ করে ৪ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলনেতা সাকিবকে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করেন ওপেনার লিটন। এ সময় দুজন মিলে মাত্র ৫৫ বলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দল। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৬৯ রানে আউট হয়েছেন লিটন। মাত্র ৪২ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ছয়টি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো।
লিটনের দেখানো পথে হাঁটেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৭০ রান। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষেও তুললেন টানা আরেকটি ফিফটি। আন্তর্জাতিক টি২০তে সাকিবের ক্যারিয়ারে এটি ১২তম ফিফটি। শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় সাকিব ফিরলেন ৬৮ রান করে। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে সাজানো ছিল সাকিবের এই ইনিংস।