অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ৪৩ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে নির্বাচন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন সিইসি ও অন্য কমিশনাররা। অনিয়মের ছবি ধরা পড়ায় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচন, নির্বাচনের মতোই করতে চায় কমিশন। গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে গেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করেছে। পুরো নির্বাচন নিয়ে বিকেলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ৪৫টি কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ। নির্বাচনের সংস্কৃতি উন্নত না হলে কমিশনে বসে ভোট সুষ্ঠু করা যাবে না। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা অনিয়মে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে একই দিন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিরতিহীনভাবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
জানা গেছে, নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ভোটের মাঠে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ৫টি সাদা পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছেন। তাছাড়া ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। এছাড়া ১ হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকছে সবগুলো ভোটকেন্দ্র।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।