প্রকৃতিতে এখন শরৎকাল চলছে। গরমের শেষ ও শীতের শুরুর আগের এই সময়ে প্রকৃতি শুষ্ক হতে থাকে। এই সময়ে ত্বকেও শুষ্কতা দেখা দেয়। সমস্যা এড়াতে, অনেকেই প্রসাধনী থেকে শুরু করে ঘরোয়া প্রতিকারের নানা পদ্ধতি অনুসরণ করেন। এতেও ত্বকের শুষ্কতা থেকে রেহাই পান না বেশিরভাগ মানুষ। আসলে শীতে কিছু জিনিস ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়, যার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এই সময়ে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির সাহায্যে ত্বকের এই শুষ্কতা এড়াতে পারেন। এর জন্য যা যা ব্যবহার করতে পারেন-
সূর্যমুখী বীজ তেল: ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যমুখী বীজের তেল ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয় না। একই সমীক্ষায় জানা গেছে, সব প্রাকৃতিক তেল ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়।
নারকেল তেল: আরেকটি প্রাকৃতিক তেল যা শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় ভাল কাজ করে তা হল, নারকেল তেল। ২০১৪ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলির মতো নিরাপদ এবং কার্যকর। এটি ত্বকের হাইড্রেশনকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে এবং ত্বকের পৃষ্ঠে লিপিডের (চর্বি) সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। নারকেল তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বর্তমান যেটাতে, ইমোলিয়েন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইমোলিয়েন্ট হল একটি চর্বি বা তেল যা শুষ্ক ত্বকের ফাঁক পূরণ করে এটিকে মসৃণ করে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
ওটমিল: ওটমিল হল আরেকটি প্রাকৃতিক উপাদান যা শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। গোসলের পানিতে গুঁড়ো ওটমিল যোগ করা বা ওটমিলযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা শুষ্ক ত্বককে উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।