বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে বিজয়া দশমীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিমা বিসর্জনে বাধা দেওয়া। উল্টো মিথ্যা অভিযোগ এনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।
রোববার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত বুধবার রাতে দুর্গাপূজা শেষে বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার সময় তুচ্ছ ঘটনার জেরে র্যাব সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগারদের তর্ক-বিতর্ক হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী ক্যাডাররা সড়ক অবরোধ করে বলে যে, র্যাবের সদস্যরা ক্ষমা না চাইলে তারা প্রতিমা বিসর্জন হতে দেবেন না। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং হিন্দুদের ধর্মীয় রীতি পালনে বাধা ও ভয়ভীতি সৃষ্টি করে।
এর সঙ্গে যোগ করে নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, সারাদেশে রাত ৮টার মধ্যে দেবী বিসর্জনের নিদের্শনা ছিল। কিন্তু দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রাত সাড়ে ১০টা বাজলেও দেবী বিসর্জন দেওয়া হয়নি। স্থানীয় আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহের সঙ্গে সাদা পোশাকে র্যাবের এক কর্মকর্তার কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান তার দলীয় লোকজন জড়ো করে বলেন, বিবাদের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত দেবী বিসর্জন দিতে দেবেন না। এরপর আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে প্রতিমা বিসর্জনের আহ্বান জানাই।