স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে খুনের আগে ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বন্ধ রাখতে বলেছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। তাঁর নির্দেশমতো সব ক্যামেরা বন্ধ রাখা হলেও দুটি ক্যামেরা খুনিদের অগোচরে থেকে যায়। এতেই ফাঁস হয়ে যায় রোমহর্ষ সেই খুনের ঘটনা।
মিতু হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রে থাকা আসামি এহতেসামুল হক ভোলা কারাগারে থাকা অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক আবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করেন। ভোলার আবেদনপত্রটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের মহাপরিচালকের (ডিজি) কাছেও পাঠানো হয়।
২০১৬ সালে ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ১০ অক্টোবর এ মামলার ধার্য দিন রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে মিতু খুনের সঙ্গে বাবুল আক্তারসহ ৯ জন আসামির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে নুরুন্নবী ও রাশেদ পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাঁদের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেসামুল হক ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া।
বিজ্ঞাপন