ঢাকা মহানগর অঞ্চলের জন্য প্রস্তুতকৃত প্রথম বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (Detailed Area Plan-DAP) ২০১০ সালের ২২ জুন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
পরিকল্পনাটির মেয়াদ ছিল ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এরপর ২০১৫ সালের মার্চে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০২২-২০৩৫ প্রণয়নের কাজ শুরু হয়।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার প্রায় ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে একটি আধুনিক, কার্যকর ও বাসযোগ্য মহানগরী গড়ে তুলতে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা মহানগর অঞ্চলের জনসংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ এবং ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রক্ষেপিত জনসংখ্যা ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ। প্রকল্প এলাকাকে ছয়টি স্বতন্ত্র প্রধান অঞ্চলে (Region) এবং ৭৫টি উপ-অঞ্চলে (Sub-Region) বিভক্ত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
পরিকল্পনাটির অন্তর্নিহিত দর্শন হলো একটি মানবিক শহর তৈরি করা। দুটি মূল ভিত্তির ওপর অধিষ্ঠিত আছে আলোচ্য পরিকল্পনাটি। এর একটি হলো ন্যায়সঙ্গত বা অন্তর্ভুক্তিমূলক (Inclusive) পরিকল্পনা অর্থাৎ সব আর্থ-সামাজিক শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজন ও জীবনযাত্রাকে পরিকল্পনায় আমলে নেওয়া। পরিকল্পনার আরেকটি ভিত হলো প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন, অর্থাৎ যে প্রাকৃতিক পারিপার্শ্বিকতায় মানুষের বসবাস, তার পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবন।