ঢাকার ফার্মগেইট এলাকার বাসিন্দা আনু সারাদিন অন্যের বাড়ি ঘুরে ঘুরে রান্নার কাজ করেন। বিকালে বাসায় ফিরে যখন নিজের পরিবারের খাবার জোগাতে বারোয়ারি রান্নাঘরের চুলায় হাঁড়ি চড়ান, তখন গ্যাসের অভাবে চুলা আর জ্বলতেই চায় না।
শীত এখনও আসেনি, কিন্তু এরই মধ্যে গ্যাস সংকটে নাকাল হতে হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। আনু জানালেন, তার বাসার চুলায় গ্যাসের জোর বাড়ে রাত ১০টার পর, যখন সবার রান্না-খাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
“আমার সকাল তো শুরু হয় সকাল ৬টায়, সারাদিন মাইনষের বাসায় কাজ-কাম করি। বাসায় ফিরতে ফিরতে ধরেন ৪টা-৫ টা। আগে যেইটা করতাম, বাসায় ফিরাই তাড়াতাড়ি নিজের ঘরের রান্না শেষ করতাম। তারপর আর চিন্তা থাকতো না, বিশ্রাম নিতাম। কিন্তু এখন বইসা থাকা লাগে, কখন গ্যাস বাড়বেম আর কখন সিরিয়াল পাব।”
দিনের বড় একটি অংশ চুলায় গ্যাস না থাকার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার অধিকাংশ এলাকা থেকেই। অনেকে গভীর রাতে কিংবা খুব ভোরে উঠে রান্না করছেন। গ্যাস লাইন থাকার পরও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার কিনতে বাধ্য হচ্ছে অনেকে।
কিন্তু আনুর মত যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, আলাদা করে এলপিজি সিলিন্ডার কেনা বা হোটেল থেকে খাবার কিনে খাওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। ফলে ‘লাইনের গ্যাসই’ তাদের একমাত্র ভরসা।