স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট থেকে বিডিএস ডিগ্রি শেষ করে একই কলেজের হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন আমিরুল ইসলাম (ছদ্মনাম)। তার এমবিবিএস পাস করা বন্ধুরা অবশ্য ইন্টার্নের পাশাপাশি সরকারি কিংবা বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেখানে আমিরুলের সুযোগ যৎসামান্য। ফলে তাকে চেম্বার খুলে বসতে হবে। এতেও প্রয়োজন বড় অংকের মূলধন। অন্যথায় তাকে কাজ করতে হবে কোনো জ্যেষ্ঠ ডেন্টিস্টের সহযোগী হয়ে। সেক্ষেত্রে আয় খুবই কম। সব মিলিয়ে ভবিষ্যৎ পেশা নিয়ে রাজ্যের দুশ্চিন্তায় আছেন কঠোর পরিশ্রম করে ডেন্টাল পাস করা শিক্ষানবিশ এ চিকিৎসক। একইভাবে ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্র নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিডিএস শেষ বর্ষের ছাত্রী ইতিশা আহমেদ (ছদ্মনাম)।
শুধু আমিরুল বা ইতিশাই নন, দেশের ২৭ শতাংশের বেশি ডেন্টাল শিক্ষার্থী ভুগছেন বিষণ্নতায়। গবেষণায় উঠে আসা তথ্য বলছে, মূলত একাডেমিক, অসুস্থতা, ক্লিনিক্যাল পরিবেশের প্রতিকূল পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের পেশা নিয়ে হতাশা থেকেই এ বিষণ্নতা ভর করে। তবে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের মধ্যেই হতাশার প্রবণতা বেশি পাওয়া গিয়েছে। বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতাও। জার্মানিভিত্তিক খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা স্প্রিঙ্গার সম্প্রতি গবেষণাটি প্রকাশ করেছে। যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও একটি দেশীয় গবেষণা সংস্থার চার গবেষক এ গবেষণা পরিচালনা করেছেন। ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রংপুর মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীর ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষকরা দাবি করছেন, এর আগে ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা হয়নি।