টেলিভিশন চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা এখন যত বাড়ছে; মুদ্রিত সংবাদপত্রের ভবিষ্যৎমুখী রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা ততই জরুরি হয়ে পড়ছে। মনে পড়ে, যখন স্কুল-কলেজে পড়তাম তখন থেকেই সকালে কোনো কারণে সংবাদপত্র পড়তে না পারলে অস্বস্তি হতো। কিন্তু ইদানীং প্রায়ই যখন ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করি, তারা সংবাদপত্র পড়ে কিনা; অনেকেই জানায়, ফেসবুকে কোনো ঘটনা সংক্রান্ত আলোচনা আর অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদের আপডেট থেকেই তারা জানে, কোথায় কী ঘটছে। কিন্তু এভাবে কোনো ঘটনা সম্পর্কে বিশদভাবে যেমন জানা যায় না, তেমনি ঘটনার প্রকৃত নানা দিকও থেকে যায় অজানা। তাই চিন্তাঋদ্ধ পাঠকের কাছে মুদ্রিত সংবাদপত্রের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে না।
মনে পড়ে অনেক দিন আগে কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি কাহিনিতে পড়া কিছু কথা। কথাগুলো আমার ভালো লেগেছিল। তাই লিখে রেখেছিলাম ডায়েরিতে- 'পরদিন ঘুম ভাঙতে একটু দেরিই হয়েছিল সমীরের। চোখে-মুখে জল দেবার আগেই ওর খবরের কাগজে চোখ বুলানো অভ্যাস। এ বাড়িতে বরাবরই ও ফার্স্ট রিডার। হাতে গরম রুটির মতোই একেবারে মেশিন-গরম কাগজের ভাঁজ খোলার একটা আনন্দ আছে। বাবা মজা করে বলেন, আমার বেড-টি আর সুমুর হচ্ছে বেড-পেপার।'