নৈরাজ্যের বিদ্যাপীঠ

যুগান্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১২

ইডেন কলেজ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই কলেজ থেকে পাশ করে অনেক নারী দেশ ও বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন ও করে চলেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, কলেজটির সুনাম দিন দিন ক্ষুণ্ন হচ্ছে।



আর এজন্য দায়ী কলেজটির অভ্যন্তরীণ ছাত্রলীগের রাজনীতি। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ এখন স্থায়ী সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিবছরই থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষের ঘটনা। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মূল কারণ সিট-বাণিজ্যসহ নানা ধরনের চাঁদাবাজি। এই বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির কারণে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় উভয়পক্ষ। বিভিন্ন সময়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।


এর মধ্যে দুবার ছাত্রলীগের কলেজ কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকর্মীকে। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। সাম্প্রতিককালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বৈরিতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ ও হল দুই-ই বন্ধ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসসহ হলগুলো বন্ধ থাকবে।


গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সিট-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও মেয়েদের অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আন্দোলন করছে একটি গ্রুপ। কিন্তু দেখা গেল, গত রোববার রাতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদেরই শুধু সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের কাউকে কেন বহিষ্কার করা হলো না? ওদিকে ইডেন কলেজে যে নৈরাজ্য চলছে, কলেজ কর্তৃপক্ষের সে ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us