আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আমরা সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ করছি। আমরা পিনপয়েন্ট করছি ধর্মীয় উগ্রবাদকে। সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য শুধু ধর্মীয় উগ্রবাদ দায়ী নয়। এর জন্য দায়ী কতিপয় অমানুষ।
এই অমানুষরা সমাজে বসবাস করে ব্যক্তি স্বার্থে পারিবারিক স্বার্থে অথবা গোষ্ঠীগত স্বার্থে যখন যে উপাদানকে প্রয়োজন হয়, সেই উপাদানকে ব্যবহার করে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করে। সমাজে সন্ত্রাস, সহিংসতা ও উগ্রবাদের জন্ম দেয়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্দেশনার প্রতি আনুগত্য জানিয়ে এক সাথে দেশ গড়ার কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে জয়পুরহাট সার্কিট হাউস মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা প্রতিহত করার লক্ষে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।
জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছেন। যুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছেন। দু’লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি হয়েছে। আমাদের উচিৎ, আমাদের যে পূর্ব পুরুষরা রক্ত দিয়ে আমাদের জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, একটি লাল-সবুজ পতাকা দিয়ে গেছেন, একটি জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে গেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। সেই শ্রদ্ধা কেবল মাত্র ১৬ ডিসেম্বর ২৬ মার্চে ফুল দিয়ে বা অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অথবা বক্তৃতায় দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মাধ্যমে নয়। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন হবে তখনই যখন যে স্বপ্ন ধারণ করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এ দেশটাকে তারা স্বাধীন করে গেছেন। তাদের দেখা সেই স্বপ্নের প্রতি যদি আমরা নিবেদিত হই। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যদি আমি আপনি আমরা সবাই মিলে কাজ করি। তাহলেই আমরা ১৯৭১ সালের ৩০ লক্ষ শহীদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারব’।