মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত হামহাম জলপ্রপাত চার দিন ধরে পর্যটকদের জন্য বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার এক বয়স্ক পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনার পরেই স্থানীয় বন বিভাগ শনিবার থেকে হঠাৎ করেই হামহাম জলপ্রপাতে যেতে অস্থায়ী নিষেজ্ঞা জারি করেছে।
বন বিভাগের দাবি, দুর্গম জলপ্রপাত এলাকায় গিয়ে বয়স্ক পর্যটকরা নানা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গত চার বছরে তিন পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এখানে। গত এক বছরে জলসুন্দরী হামহাম জলপ্রপাতে মানুষের আনাগোনাও বেড়েছে। এতে করে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে জায়গাটি। তাই প্রাথমিকভাবে পর্যটকদের যেতে বারণ করা হচ্ছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে দুই বছর পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিল। হামহাম জলপ্রপাতটিতেও কেউ ঘুরতে আসেনি। বনের প্রাণ-প্রকৃতি ফিরে পেয়েছিল আপন চেহারা। তবে চলতি বছর থেকে প্রায় প্রতিদিনই শত শত পর্যটক এখানে ভিড় করে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে হামহাম জলপ্রপাতে যেতে ১৫ জন পর্যটকের একটি দল রওনা দেয় বনের ভেতর। তবে ফেরার পথে হঠাৎ এক বয়স্ক পর্যটকের আকস্মিকভাবে বুকে ব্যথা শুরু হলে তিনি মাটিতে ঢলে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরই সিলেট বন বিভাগের কমলগঞ্জের রাজকান্দি রেঞ্জ কার্যালয়ের মৌখিক নির্দেশে হামহাম জলপ্রপাতে পর্যটক প্রবেশে নিষেজ্ঞা জারি করা হয়। তার প্রেক্ষিতে কুরমা বন বিট শনিবার থেকে হামহামে কোনো পর্যটক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এ ছাড়া কলাবন এলাকার দোকানপাটও বন্ধ রাখা হয়েছে। হঠাৎ এ নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছে পর্যটকরা। চার দিনে শত শত পর্যটক ফিরে গেছে।