কেউ যদি মনে করে থাকেন, বাংলাদেশের অজপাড়াগাঁয়ের নিঃস্ব কোনো আমেনা কিংবা রামের কথা ভেবে বিশ্ব রাজনৈতিক মোড়লেরা সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ভুল করবেন। বিশ্বরাজনীতি এখন সে সবের ধার ধারে না। কে কার মিত্র হয়ে অন্যকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে, কে কার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে, কে কার কাছে কত টাকার অস্ত্র বিক্রি করবে—এ ধরনের বিষয়েই বিশ্ব মোড়লদের আগ্রহ। তাদের অর্থনীতিতে অর্থ সঞ্চার করার জন্য বিভেদ টিকিয়ে রাখার মন্ত্র খুবই উপকারী। সেই মন্ত্র জপতে পারলে নিজের অবস্থান পোক্ত করা যায়।
সারা বিশ্বের অর্থনীতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যেভাবে থাপ্পড় খেয়েছে, তা নিয়ে এখনো শেষ কথা বলার সময় আসেনি। তবে এটা বোঝা যাচ্ছে, সারা বিশ্ব এই যুদ্ধের প্রভাবে নাকাল হচ্ছে, সবচেয়ে বেশি আঘাত আসছে গরিব দেশগুলোর অর্থনীতিতে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো বুঝিয়ে দিচ্ছে আমেরিকাকে নাটের গুরু হিসেবে মেনে নিয়ে তারা কতটা চেপে ধরতে পারে রাশিয়াকে; আবার ভারত, চীন, ইরানসহ আরও কয়েকটি দেশের সহযোগিতায় রাশিয়ার মোড়লিপনায় শুরু হয়েছে ডলারের আধিপত্যবিরোধী ভাবনা-চিন্তা। বড়লোক দেশগুলোর এই যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কাছে ‘উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’।