ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা বছরের যেকোনও সময়েই দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ত্বক সঠিকভাবে পরিষ্কার না থাকার ফলেই ব্ল্যাকহেডস দেখা দেয়। তেল-ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যাওয়া ত্বকের ছিদ্র এবং মৃত কোষের সমষ্টি, বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে কালো হয়ে যায়।
সাধারণত নাকের দুই পাশে এবং চিবুকে সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাকহেডস দেখা দেয়। ব্ল্যাকহেডস-এর কারণে সৌন্দর্যেও ঘাটতি পড়ে। ঘরোয়া পদ্ধতি ব্ল্যাক হেডস দূর করতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
মধু এবং কাঁচা দুধ : মধুর ত্বকের অনেক উপকার করে। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে নিন ভাল করে। এই মিশ্রণটি মাইক্রোওয়েভে পাঁচ সেকেন্ড গরম করে আবার ঠান্ডা করে আক্রান্ত স্থানে পেস্টটি লাগান। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করুন।
ওটমিল এবং দই: ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে ওটমিল দারুণ কার্যকর। দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ৪ টেবিল চামচ ওটমিল ভাল করে পিষে নিয়ে তাতে ২ টেবিল চামচ দই মেশান। মিশ্রণটি কিছুক্ষণ বসতে দিন। তারপর এটি মুখে লাগান ভাল করে। যে সব জায়গায় ব্ল্যাকহেডস আছে সেখানে আলতো করে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এটি করতে পারেন।
মধু এবং দারুচিনি : দারুচিনিতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। মধুর সঙ্গে দারুচিনি ব্ল্যাকহেডস-এর পাশাপাশি ব্রণ সারাতেও সাহায্য করে।
এজন্য আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখের টি-জোন এবং থুতনিতে লাগান। ২০ মিনিট রাখার পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।