একটি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে কী নেই এবং নাগরিকের চিন্তার স্বাধীনতা আছে কী নেই, তা দিয়ে সহজেই গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি পরিমাপ করা যায়। গণতন্ত্রকে বলা হয় মানবসভ্যতার উৎকৃষ্ট শাসনব্যবস্থা, যা হাজার হাজার বছর ধরে পরীক্ষিত হয়ে আজকের অবস্থানে উত্তীর্ণ হয়েছে। শত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রই পৃথিবীর সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য শাসনব্যবস্থা।
গণতন্ত্র শব্দটি বিশ্লেষণ করলে অর্থ দাঁড়ায় ‘জনগণের ব্যবস্থা’। যুক্তরাষ্ট্রে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের একটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা দিয়েছেন, ‘জনগণের মধ্যমে জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য’। আর গণমাধ্যমের কাজ হলো জনগণের বার্তা বা মেসেজ নিরপেক্ষ ও নির্ভুলভাবে সরকারের কাছে তুলে ধরা। বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে উল্লিখিত রাষ্ট্রপরিচালনার যে চারটি মূলনীতির কথা বলা হয়েছে তাদের একটি হলো গণতন্ত্র। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণই প্রধান বা ক্ষমতার উৎস। জনসাধারণের প্রতিক্রিয়াই নির্ধারণ করে দেশটি কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এক কথায় গণতন্ত্র হলো জনসাধারণের শাসনব্যবস্থা। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করাই গণতন্ত্র। ফলে গণতন্ত্রে নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ ও স্বাধীনতা থাকে। গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও অপরিহার্য।