গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদের অতিষ্ঠতা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ঘরে লাগিয়েছেন এসি বা এয়ারকুলার। কিন্তু এগুলো মধ্যবিত্তের অনেকের সামর্থ্যের বাইরে হওয়ায় তারা ঘর শীতল রাখতে বেছে নিয়েছেন এক ভিন্ন পদ্ধতি। ঢাকার বেশকিছু বাড়ির বারান্দায় তাকালে চোখে পড়ে বাঁশের পর্দা ঝুলছে। কেউ কেউ এগুলো লাগিয়েছেন বাইরের রোদ, তাপ থেকে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে। কেউ আবার বাঁশের পর্দা ঝুলিয়েছেন শখের গাছকে রোদের হাত থেকে রক্ষা করতে।
অনেকে আবার ঘর ও বারান্দায় নান্দনিকতা আনতেই লাগিয়ে থাকেন বাঁশের ঝুলন্ত পর্দা। আধুনিক নাগরিক জীবনকে প্রকৃতির ছোঁয়ায় সাজিয়ে তুলতে অনেক রেস্তোরাঁয় লাগানো হয়েছে বাঁশের পর্দা। গ্রামে একসময় বাঁশ দিয়ে তৈরি পর্দার ব্যবহার ছিল প্রচুর। কিন্তু কালক্রমে এই ঐতিহ্য এখন ফিকে হয়ে গেছে। গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যকে নতুন করে মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ থেকেই দুবছর আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল সাবিহা শবনমের 'মিরিতিনার'।