আড়াই বছর আগে মেয়াদ শেষ হলেও আটকে আছে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ এবং ছাত্রলীগের সম্মেলন। দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, নীতিনির্ধারক নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলনের তারিখ বেঁধে দিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তরে লিখিত আবেদন দিয়ে রেখেছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সময় পাওয়া মাত্র সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হবে। তবে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পদ ধরে রাখতে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে সময়ক্ষেপণসহ টালবাহানার অভিযোগ উঠেছে। বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগের নির্দেশের পরও সম্মেলনে আগ্রহী নয় এ তিন কমিটি।
মেয়াদোত্তীর্ণ তিন সংগঠনের সম্মেলন নিয়ে এমন পরিস্থিতির মধ্যে আওয়ামী লীগের অন্য সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নির্ধারিত তিন বছরের মেয়াদও শেষ হতে চলেছে। এ অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোতেও নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও সাংগঠনিক গতি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মেয়াদোত্তীর্ণ এই তিন সংগঠনের সম্মেলন শেষ করতে বারবার তাগাদা দিয়ে আসছিলেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতারা। সর্বশেষ গত ৭ মে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন শেষ করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।